ছবিতে যুক্ত করুন টেক্সট অথবা ইমেজ ওয়াটার মার্ক।

সফটওয়ারটি ব্যবহার করা খুবই সাধারন। যারা কম্পিউটার বিষয়ে অল্প বিস্তর জ্ঞান রাখেন তারা খুব সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যেহেতু টেকটিউনসে অনেক নতুন ব্যবহারকারী আছে সেহেতু আমি ব্যবহারবিধি হাতে ধরে আপনাদের সংক্ষেপে দেখাতে চেষ্টা করবো।

WonderFox Photo Watermark ($29.95)

প্রথমে নিচের অফিশিয়াল ডাউনলোড লিংক থেকে সফটওয়ারটির ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড করে নিন।

Download WonderFox Photo Watermark Trial | 7.86MB



অনেকেই হয়তো আশাহত হয়েছেন! ভাবছেন ব্যাটা ফাজলামী শুরু করছে, ফুলভার্সন দিবে বলে এখন ট্রায়াল ভার্সন হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে! আপনাদের দুঃচিন্তার অবসান ঘটিয়ে এখনি আপনাদের ফুল ভার্সন করে দিচ্ছি।

১. প্রথমে আপনার কম্পিউটারের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করুন। [না করলেও চলে তবে সেফটির জন্য]
২. তারপর আমার দেওয়া নাম এবং সিরিয়াল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।

Name: Sanem Mahbeer Fahad
Serial No: DFBBC4DCDF4ABAE1D5DD

৩. সমস্যা হলে টিউমেন্টের মাধ্যমে আমাকে অবহিত করুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

আপনি যদি উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী সফটওয়ারটি আপনার কম্পিউটারে সফলভাবে ইনস্টল করে ফুল ভার্সন করে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় সফটওয়ারটি ওপেন করুন। তারপর নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন। [নতুনদের জন্য]

  • প্রথম ধাপঃ সফটওয়ারটি ওপেন করার পর আপনি নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন। আপনি যদি একটি ফাইল সিলেক্ট করতে চান তাহলে Add Files সিলেক্ট করুন আর যদি একাধিক ফাইল সিলেক্ট করতে চান তাহলে Add Folder সিলেক্ট করে Next বাটনটি চাপুন।

  • দ্বিতীয় ধাপঃ চিত্রে চিহিৃত জায়গা গুলো লক্ষ্য করুন। এখানে ডিফল্টভাবে ওয়াটারমার্ক হিসাবে টেক্সট সিলেক্ট করা আছে। আপনি চাইলে এখান থেকে ওয়াটার মার্ক হিসাবে ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া ছবিটির অল্প কিছু এডিটিং (যেমন ক্রপ করা, ফ্রেম যুক্ত করা, রিসাইজ ইত্যাদি) করতে পারবেন। আপনি আপনার ওয়াটার মার্কটির অপাসিটি কমিয়ে যে কোন জায়গাতে প্লেস করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার ইচ্ছে মতো লেখাটিকে ০-৩৬০ ডিগ্রী পর্যন্ত ঘুরাতে পারবেন। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখুন এক জায়গাতে অপশন আছে Single এবং Tile । এখানে Single মানে হলো আপনার টেক্সটি একবার ব্যবহার হবে আর Tile মানে হলো আপনার টেক্সটি বারবার রিপিট করবে এবং সমস্ত ছবি জুড়ে থাকবে। Tile ব্যবহার করলে লেখার অপাসিটি কমিয়ে দিতে ভুলবেন না। নাহলে শুধু লেখাগুলোই দেখা যাবে ছবি আর দেখা হবেনা। সবশেষে টেক্সকে স্টাইলিশ করতে চাইলে উপরের অংশে ডান পাশে টেক্সট সেটিং এ ক্লিক করুন। কাজ শেষে Apply বাটনে ক্লিক করুন।

  • তৃতীয় ধাপঃ নিচের চিত্রটি দেখুন এবং আপনার পছন্দ মতো ফন্ট এবং ফন্ট সাইজ, কালার এবং এবং শ্যাডো দিয়ে Ok বাটন প্রেস করুন এবং সব শেষে নেক্সট বাটন চাপুন।

  • শেষ ধাপঃ আপনি যদি আগের কাজগুলো ভালোভাসে করে থাকেন তাহলে নিচের উইন্ডোটি দেখতে পাবেন। এখন আপনার পছন্দের ফরমেট সিলেক্ট করে রান বাটনটি চাপুন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ।


বিঃদ্রঃ আমি শুধু টেক্সট ওয়াটারমার্ক দেওয়া দেখালাম। আপনি যদি ইমেজ ওয়াটার মার্ক দিতে চান তাহলে দ্বিতীয় ধাপে চলে যান এবং টেক্সট এর পরিবর্তে ইমেজ সিলেক্ট করুন। তারপর সব পদ্ধতি একই রকম। আশা করি বুঝতে কারো সমস্যা হবেনা।

শেষ কথা

টিউনটিতে অনেক ইংরেজি শব্দ আমি বাংলায় লেখেছি, আশা করি বিষয়টি আপনারার ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তাছাড়া টিউনটি বুঝতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আর আপনাদের যেকোন সমস্যায়.........

Previous
Next Post »

পোস্ট সম্পর্কিত সমস্যার জন্য মন্তব্য দিন।ডাউনলোড লিঙ্ক এ সমস্যা জন্য ইনবক্স করুন Aimzworld007
ConversionConversion EmoticonEmoticon

Thanks for your comment