১। একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরের কোন ফ্ল্যাশ অথবা পেনড্রাইভ ব্যবহার না করা। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরের ফ্ল্যাশ অথবা পেনড্রাইভ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপডেটেড কোন এন্টিভাইরাসের স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে নেয়া। ভাইরাস পেলে তা রিমুভ, কিল, হিল বা ডিলেট করে নেয়া।
২। সিডি বা ডিভিডি ব্যবহারের পূর্বে এন্টিভাইরাসের স্ক্যানের মাধ্যামে স্ক্যানের পর তাতে ভাইরাস ধরা পড়লে ওই সিডি/ডিভিডি ব্যবহার না করা। কারণ সিডি/ডিভিডিতে ডাটা রাইট করার সময় ভাইরাস ঢুকে যায় এবং পরে ভাইরাস পাওয়া গেলেও তা মুছা অসম্ভব।
৩। আজকাল মোবাইল ফোনে মেমোরি স্টিক জাতীয় এক্সাটার্নাল মেমোরি যুক্ত করার সুবিধা থাকায় এবং গান, রিংটোন, ইমেজ বা মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টসমূহ কম্পিউটার হতে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড এবং মোবাইল ফোন হতে কম্পিউটারে আপলোড করার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সাথে মোবাইলে সংযোগ দেওয়ার সাথে সাথে সেটিকে স্ক্যান করে নেওয়া উচিত।
৪। ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ছবি পিসিতে আপলোড করার সময় ক্যামেরার মেমোরিকে স্ক্যান করিয়ে নেওয়া।
৫। ডিস্ক রাইট প্রটেক্ট না করে অন্য কোন কম্পিউটারে ব্যবহার না করা।
৬। সব সময় এন্টিভাইরাসের আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করা।
৭। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে অবশ্যই প্রতিদিন এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি আপডেড করিয়ে নেওয়া।
৮। প্রতিদিন কাজের শেষে প্রয়োজনীয় ডাটার ব্যাকআপ রাখা। ব্যাকআপ রাখার পূর্বে যে স্থানে ব্যাকআপটি নেয়া হচ্ছে সেটি ভাইরাসমুক্ত কিনা তা দেখে নেওয়া।
৯। পিসিতে কোন পেনড্রাইভ / সিডি-ডিভিডি রেখে কম্পিউটার চালু না করা।
১০। অধিকাংশ ভাইরাস সাধারণ .exe ফাইলসমুহে আক্রমণ করে বেশি। তাই .exe ফাইলসমুহ Read Only করে রাখা।
১১। মাঝে মাঝে এন্টিভাইরাস দিয়ে পুরো পিসিকে স্ক্যান করিয়ে নেওয়া।
১২। ইন্টারনেট এবং ল্যান ব্যবহারে সতর্ক হওয়া। ইন্টারনেট এবং ল্যান ব্যবহারের পূর্বে এন্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল চালু রাখা।
১৩। ভাইরাস স্ক্যানিং করে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করা।
১৪। ই-মেইল এ অপরিচিত এটাচমেন্ট ফাইল খোলার ব্যাপারে সর্তক হওয়া।
১৫। ওয়েবে ”টরেন্ট” জাতীয় সাইট হতে ফাইল নামানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এ ধরণের সাইটে নানা ধরণের ভাইরাস লুকিয়ে থাকতে পারে।
১৬। অযথা অপ্রয়োজনীয় ফ্রি সফটওয়্যার বা ডেমো সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
১৭। কম্পিউটার র্স্টাটআপে ভাইরাস প্রতিরক্ষক গার্ড একটিভ রাখা।
১৮। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা। কারণ এজাতীয় সফটওয়্যারগুলোকে একটিভ করার জন্য এদের সাথে কী-জেন (Keygen) জাতীয় প্রোগ্রাম দিয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
১৯। সম্ভব হলে বছরে অন্তত একবার সম্পূর্ণ হার্ডডিস্কটি ফরম্যাট করে নতুন করে সব প্রোগ্রাম ইন্সটল করা।
২০। পিসিতে অতিরিক্ত গেমস ইনষ্টল না করা।
উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে ভাইরাস হতে নিজের পিসিকে অনেকটায় বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
Next
« Prev Post
« Prev Post
Previous
Next Post »
Next Post »
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পোস্ট সম্পর্কিত সমস্যার জন্য মন্তব্য দিন।ডাউনলোড লিঙ্ক এ সমস্যা জন্য ইনবক্স করুন Aimzworld007
ConversionConversion EmoticonEmoticon